Notice Board |
---|
Sl | Date | Notice |
---|---|---|
1 | 2024-09-30 | প্লে-গ্রুপ ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি |
2 | 2024-07-14 | ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি |
3 | 2024-07-14 | বেতন পরিশোধের নিয়মাবলী |
4 | 2024-06-23 | ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি |
5 | 2024-05-18 | ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি |
6 | 2024-05-15 | College Guideline |
7 | 2024-02-22 | বেতন গ্রহনের নীতিমালা |
8 | 2024-02-15 | শিক্ষক-অভিভাবক মতবিনিময় সভা |
9 | 2024-02-15 | ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা: |
10 | 2024-01-29 | বেতন গ্রহণ সংক্রান্ত নোটিশ ২৪ |
11 | 2024-01-09 | ৩য় শ্রেণীর অভিভাবক সভা ২৪ |
12 | 2023-12-26 | ২০২৪ সালের কার্যক্রমের পরিবর্তিত নোটিশ |
“ভালবেসে একে অপরের সেবা কর” এই মূলমন্ত্র নিয়ে ওয়াইডাব্লিউসিএ স্বাধীনতার পূর্ব সময় থেকে এই দেশে কাজ করছে। ওয়াইডাব্লিউসিএ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মধ্যে শিক্ষা প্রকল্প বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
পড়ুনইয়াং উইমেন্স খ্রিষ্টিয়ান এসোসিয়েশন (YWCA) একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী নারী সংগঠন। নারী, কিশোরী ও শিশুর সার্বিক কল্যাণ সাধনে ওয়াইডাব্লিউসিএ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ব্যাপৃত।
শিশু ও নারীর শারীরিক, আত্মিক ও মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটি বাংলাদেশের মাটিতে ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে কয়েকজন সচেতন নারীর শুভ চিন্তা ও দূরদৃষ্টির কারণে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করেছিল ।
বাংলাদেশে গত ৫৫ বছর ধরে ওয়াইডাব্লিউসিএ ১৩টি শাখায় সার্থকতার সাথে কাজ করে চলছে।
ঢাকা ওয়াইডাব্লিউসিএ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত সর্ব প্রথম শাখা, যা ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। উৎপাদনশীল বিভিন্ন কর্মকান্ডে নারীকে যুক্ত করে স্বাবলম্বী করার মধ্য দিয়ে সমাজ সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি।
যে কোন দেশেই উন্নয়নের প্রধান শর্ত হচ্ছে শিক্ষা।
যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ঢাকা ওয়াইডাব্লিউসিএ এর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদিকা স্বর্গীয় অশ্রুকণা দাশের ভূমিকা অনন্য। তাঁর তত্ত্বাবধানে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ২ জন শিক্ষক ও ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মগবাজার এলাকায় সর্বপ্রথম গড়ে তোলা হয় ওয়াইডাব্লিউসিএ নার্সারী ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল।
স্কুলের শিক্ষণ-শিখন পদ্ধতি, নিয়মশৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সকল শিক্ষার্থীর প্রতি সম মনোভাবের কারণে দ্রুত স্কুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। ফলে প্রতি বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৯৭৯ সালে স্কুলটিকে গ্রীনরোডে ওয়াই ডাব্লিউ সি এর নিজস্ব প্রাঙ্গণে এবং ১৯৮০ সালে ধানমন্ডিতে একটি ভাড়া করা বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয় । অবশেষে ১৯৮৪ সালে আবার নিজস্ব ভবনেই স্কুলটি স্থায়িত্ব লাভ করে ।
এরই মধ্যে দু:স্থ ও গরীব ছেলেমেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিতে ১৯৮৪ সালে মিরপুরে ভাড়া করা গৃহে একটি অবৈতনিক স্কুল আরম্ভ করা হয়।
অতঃপর ১৯৯৬ সালে বিভিন্ন দাতা সংস্থার অর্থ সাহায্যে গ্রীন রোডে স্কুল ভবন সম্প্রসারিত করে নিম্ন মাধ্যমিক এবং এক বছর পরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। সেই সময় থেকেই স্কুলটি প্রভাতী ও দিবা এই ২টি শাখায় বিভক্ত। প্রভাতী শাখা প্লে-২য় শ্রেণিতে ছেলে মেয়ে উভয়ে এবং দিবা শাখায় ৩য়-১০ম শ্রেণিতে শুধু মাত্র মেয়েরা শিক্ষা লাভ করছে।
একই সঙ্গে একই ভবনে অবৈতনিক স্কুলের দ্বিতীয় শাখা আরম্ভ হয়। বর্তমানে এই দুইটি অবৈতনিক স্কুলে প্রায় ৫০০ জন সুবিধা বঞ্চিত ছেলেমেয়ে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত গুণগত শিক্ষা লাভ ও বিভিন্ন সহকার্যক্রমিক কাজে অংশগ্রহণ করছে। উল্লেখ্য যে তারা প্রতিষ্ঠান থেকেই বিদ্যালয়ের পোশাক, হালকা খাবার, স্বাস্থ্য ও পরামর্শ সেবা লাভ করে।
৫ম শ্রেণির পরে উভয় শাখা থেকে মোট ১০ জন শিক্ষার্থীকে বাইরের বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি করা হয় ও মাধ্যমিক পর্যন্ত তাদের পড়াশুনার খরচ দেওয়া হয়। মাধ্যমিকে শতভাগ পাশ তাদের বিশেষ অর্জন।
এসএসসি, জেএসসি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ সাফল্য এবং সরকারী বৃত্তি প্রাপ্তি ও প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাফল্যের কারণে বর্তমানে ওয়াইডাব্লিউসিএ স্কুল ঢাকা শহরে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃত।
বিদ্যালয়ের সুনামের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মাধ্যমিক স্তর পেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশুনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৫ সালে বিদ্যালয়টিকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়।
ঢাকা ওয়াইডাব্লিউসিএ প্রোগ্রাম বিভাগের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক দ্বারা ছোটদের ইংরেজী শিক্ষা, সেলাই ও কাটিং, অংকন, গান, নাচ, মিউজিক ও আর্ট শেখানো হয়। স্কুলের ও স্কুলের বাইরের অনেক ছেলেমেয়েই এই বিভাগের মধ্য দিয়ে দক্ষতা ও সাফল্য লাভ করছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও প্রকাশের লক্ষ্যে বিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছে বিজ্ঞান, বিতর্ক, কুইজ, সাংস্কৃতিক, পরিবেশ ও কলেজ শাখার ঊর্ণিষা ক্লাব। বিভিন্ন ক্লাব কার্যক্রম ও স্কুলের অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান প্রসারিত হয়। তাদের দেহ-মন-আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে, বাস্তবতাকে জানতে শেখে এবং আদর্শ মানুষ হয়। এভাবে শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গ মানুষরূপে গড়ে ওঠে যা এই বিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য । বৈতনিক ও অবৈতনিক উভয় শাখায় সমাজের সব স্তরের শিশুর জন্য গুণগত শিক্ষার ব্যবস্থার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিদ্যালয়ের অপর উদ্দেশ্য ।
ওয়াইডাব্লিউসিএ একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী নারী সংগঠন। নারী ও শিশুর সার্বিক কল্যাণ সাধনে ওয়াইডাব্লিউসিএ সারা বিশ্বে টি দেশে এর উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গত ৫০ বছর ধরে ওয়াইডাব্লিউসিএ সার্থকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশে ওয়াইডাব্লিউসিএর ১৩টি শাখা রয়েছে। ঢাকা ওয়াইডাব্লিউসিএ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত সর্ব প্রথম শাখা যা ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। নারী কে নানা উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডে যুক্ত করার মধ্যে দিয়ে সমাজ সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ওয়াইডাব্লিউসিএ। অত:পর যুদ্ধত্তোর বাংলাদেশে ১৯৭৬ খ্রীষ্টাব্দে এদেশের শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ঢাকা ওয়াইডাব্লিউসিএ এর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদিকা স্বর্গীয় অশ্রুকণা দাশের তত্ত্বাবধানে ২জন শিক্ষক ও ১৬জন শিক্ষার্থী নিয়ে সর্বপ্রথম গড়ে তোলা হয় ওয়াইডাব্লিউসিএ নার্সারী ও কিন্ডার গার্টেন স্কুল। ১৯৯৬ সালে নিজস্ব ভবনে ওয়াইডাব্লিউসিএ স্কুলটিকে সম্প্রসারিত করে উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পায়। স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে এর সুনামও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৯ সালে এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডেও অধীনে প্রথম এস. এস. সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে অবশেষে ২০০৫ সালে এই স্কুলটিকে উচ্চ মাধ্যমিক অর্থাৎ একাদশ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়। পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরকে সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়ে জ্ঞান দানের মধ্যে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ মানুষরূপে গড়ে তোলাই হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। প্রভাতী শাখায় প্লে গ্রুপ থেকে ২য় শ্রেণি পর্যন্ত ছেলেমেয়ে উভয়ের পড়ার সুযোগ রয়েছে।
দিবা শাখায় ৩য় থেকে ১২শ শ্রেণি পর্যন্ত শুধু মেয়েদের পড়ার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া গ্রীণরোডে ২৫০ জন এবং মীরপুরে ২৫০জন সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য ফ্রি স্কুলের মধ্যে দিয়ে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ১৩ জন শিক্ষক ও ৫০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিদ্যালয়ে এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে সার্থকতার সংগে।
ywcaschool1976@gmail.com
dhywcaschool@yahoo.com
+88-02-223368645
+88-02-223362535
+88-02-223363637